Type Here to Get Search Results !

গ্রীষ্মের তিন মাস 'কালোজাম' সঙ্গে রাখুন - কমবে বহু অসুখের ঝুঁকি

গ্রীষ্মের তিন মাস 'কালোজাম' সঙ্গে রাখুন - কমবে বহু অসুখের ঝুঁকি
স্মাইল ইন্ডিয়া নিউজ,শাস্বতী চ্যাটার্জী :- আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কালোজাম ধন্বন্তরি ফল হিসাবে বর্ণিত হওয়ার পরেই আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য কালোজাম নিয়ে ব্যাপক ভাবে গবেষণা করেন। তার পরেই তিনি সিদ্ধান্তে আসেন কালোজাম এমনই এক ফল, যা মানুষের জীবনের যথার্থ বন্ধু। আধুনিক পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা বলেন, ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে বাড়তে থাকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি৷ সেই সঙ্গেই বাড়তে থাকে কিডনির সমস্যার সম্ভাবনাও৷ সুস্থ থাকতে তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি৷ ডায়াবেটিস মোকাবিলায় অব্যর্থ কালোজাম৷ তাই প্রতিদিন কালোজাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ গবেষণায় প্রমাণিত কালো জামে সুক্রোজ একেবারেই থাকে না৷ ফলে কালো জাম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে৷ তবে কালোজামের শাঁসের থেকে অনেক বেশি উপকারি কালোজামের বীজ ৷ কালোজামের বীজে থাকে জাম্বোলিন৷ যা স্টার্চ সুগারে পরিণত করতে সাহায্য করে৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে কালোজাম। এছাড়াও বলা হচ্ছে, জামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যেমন- ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জামের বিকল্প নেই। বহুকাল আগে থেকেই জাম গাছের বাকল, পাতা ও বীজ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে আসছে। ম্যালিক এসিড, গ্যালিক এসিড, অক্সালিক এসিড এবং ট্যানিন থাকে জাম উদ্ভিদে। তাই শুধু ফল নয়, জামের গাছ ও পাতাও মানুষের পরম বন্ধু। বিভিন্ন গবেষণায় জামের কেমোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য ও রেডিওপ্রোটেক্টিভ উপাদান যে আছে তা প্রমাণিত। তাই বলা হয়, ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.