ব্যবসা-বাণিজ্য
শাসক বলছেন, 'মধ্যবিত্তের বাজেট' - কিন্তু মধ্যবিত্ত কারা?
শনিবার সংসদে পেশ হয়ে গেলো ২০২৫-'২৬ আর্থিক বছরের বাজেট। এবারের বাজেটে মধ্যবিত্তের জন্য কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নতুন আয়কর কাঠামোয় ০ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় কোনও কর দিতে হবে না। ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ কর দিতে হবে। সেখানেই ২৪ লক্ষ টাকার উপরে যাদের আয়, তাদের ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয় বদলেছে। সেই সঙ্গে বদলেছে মধ্যবিত্তের পরিচয়ও। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ ফোকাসে রেখেছে মধ্যবিত্তদের। অধিবেশন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গরিব ও মধ্যবিত্তদের মঙ্গলকামনায় মা লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে মধ্যবিত্তের উচ্চাকাক্ষ্মার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।
মধ্যবিত্তের বৈশ্বিক যে সংজ্ঞা, তার সঙ্গে ভারতীয় সংজ্ঞা মেলে না। একদিকে যেমন আয়ের ভিত্তিতে মধ্যবিত্ত নির্ধারণ করা হয়, তেমনই আবার ব্যয়ের ক্ষমতার উপরেও নির্ভর করে।
২০২২ সালে পিপলস রিসার্চ অন ইন্ডিয়া’স কনজিউমার ইকোনমির সমীক্ষা অনুযায়ী, মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষের মধ্যে হয়। যাদের আয় ১.০৯ লক্ষ টাকা থেকে ৬.৪৬ লক্ষ টাকার মধ্যে, তাকে মধ্যবিত্ত বলে গণ্য করা হয়। ২০২২ সালে PRICE -র সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্য়ার ৩১ শতাংশই মধ্যবিত্ত। অর্থাৎ প্রায় ৪৩.২ কোটি মানুষ মধ্যবিত্তের গণ্ডিতে পড়েন। ২০৪৬-৪৭ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১০০ কোটি পেরিয়ে যেতে পারে। তখন দেশের ৬১ শতাংশ জনগণই মধ্যবিত্তের গণ্ডিতে পড়বেন।