Type Here to Get Search Results !

ভারতের এই গ্রামলোর কথ্য ভাষা এখনও সংস্কৃত

 ভারতের এই গ্রামলোর কথ্য ভাষা এখনও সংস্কৃত 




  সারা ভারত জুড়ে প্রচলিত অজস্র নব্যভারতীয় আর্য ভাষা বা কোনো না কোনো অন্য উপভাষা। তাই এখন মানুষের মৌখিক ভাষা। তবে অধিকাংশ ভাষার উৎস কিন্তু সংস্কৃত। অথচ সেই সংস্কৃত এখন শুধু বেদ, বেদন্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সেই যুগে দাঁড়িয়ে ভারতের বেশ কয়েকটা গ্রাম আছে যারা কথ্য ভাষা হিসাবে এখনও সংস্কৃত ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যেমন -


  * মট্টুর গ্রাম -কর্নাটক - কর্ণাটকের শিমোগা জেলার মট্টুর গ্রাম সংস্কৃত ভাষায় কথা বলার জন্য বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। এখানকার মানুষ ঘরে, মন্দিরে এবং বাজারেও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানে প্রতিটি ব্যক্তি, শিশু হোক বা বৃদ্ধ, সহজেই সংস্কৃতে কথোপকথন করে। এই কারণেই মট্টুরকে “সংস্কৃত গ্রাম”ও বলা হয়।


  * হোসাহাল্লি (কর্ণাটক)

মট্টুরের কাছেই অবস্থিত হোসাহাল্লি গ্রামও সংস্কৃত ভাষাকে তাদের দৈনন্দিন জীবনে গ্রহণ করেছে। এখানেও মানুষ একে অপরের সাথে সংস্কৃতে কথা বলে এবং শিক্ষা থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পর্যন্ত, সংস্কৃতই এখানকার প্রধান ভাষা। এইভাবে কর্ণাটকের দুটি গ্রাম মিলে পুরো বিশ্বের সামনে সংস্কৃতকে জীবিত রাখার একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে।


  * ঝিরি (মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার ঝিরি গ্রামেও মানুষ আজও সংস্কৃত ভাষায় কথোপকথনের জন্য বিখ্যাত। এখানে গ্রামবাসীরা সংস্কৃতকে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে। মজার ব্যাপার হল, এখানে কেবল বয়স্করাই নয়, নতুন প্রজন্মও সংস্কৃত ভাষাকে তাদের পরিচয় বানাচ্ছে। এইভাবে মধ্য ভারতের এই গ্রামটিও সংস্কৃত ভাষায় কথা বলে তার পরিচয় স্থাপন করছে।


  * সাসনা (ওড়িশা)

ওড়িশার সাসনা গ্রামও সংস্কৃত ভাষাকে জীবিত রাখার জন্য পরিচিত। এখানে অনেক সংস্কৃত বিদ্যালয় রয়েছে এবং স্থানীয়রা দৈনন্দিন কথোপকথনে সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করে। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানে সংস্কৃতের প্রচার শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে করা হয়।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.