রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পা রাখলেন দিল্লি
মোটামুটি ৩০ ঘন্টার জন্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভারতে আসলেন। সঙ্গে কি আনলেন ? কৌতূহল সমস্ত ভারতবাসীর। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সফর সফর ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক পুতিনের এই সফর ঘিরে কী কী প্রত্যাশা রয়েছে।
* বাণিজ্য ঘাটতি কমানো -
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর প্রধান কারণ ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করলেও রাশিয়ার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের পরিমাণ অনেক কম। রাশিয়ায় তার রপ্তানি বছরে মাত্র ৪৮৮ কোটি ডলার। তাই নয়াদিল্লির লক্ষ্য মস্কোয় সামুদ্রিক পণ্য, আলু, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ওষুধের মতো দ্রব্যের রপ্তানি বাড়ানো।
* জনশক্তি গতিশীলতা চুক্তি চূড়ান্ত করা - ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি জনশক্তি গতিশীলতা চুক্তি চূড়ান্ত করা। যার লক্ষ্যই হল রাশিয়ার শ্রম ঘাটতি মেটাতে ভারত থেকে দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী নিয়োগের এক আইনগত পরিকাঠামো নির্মাণ। এই চুক্তির ফলে নির্মাণ, উৎপাদন এবং অন্যান্য শিল্প খাতে হাজার হাজার ভারতীয় কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
* মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি -
বিশ্ববাণিজ্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে। সেটাকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে চান পুতিন। সেই লক্ষ্যেই ২০১৫ সালে তৈরি হয় ‘ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন’। যেখানে রাশিয়া ছাড়া রয়েছে আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান ও কিরঘিজস্তান। এই ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। পুতিনের ভারত সফরে এই নিয়েও চূড়ান্ত কথা হয়ে যেতে পারে।
* ভারত-রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ - নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশই সম্প্রসারিত হচ্ছে। গত সপ্তাহে কাজানে ভারতের নতুন দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবং ইয়েকাটেরিনবার্গে আরেকটি দূতাবাসে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে।
* প্রতিরক্ষা চুক্তি -
সাধারণ ভাবে এই ধরনের বৈঠকে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয় না। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, এবার মোদি-পুতিন সংলাপ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। সেখানে এই বিষয়েও কথা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ২০০২ সাল থেকেই সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে জোর দিয়েছে দুই দেশ।
এছাড়াও আছে তেল সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা।
