কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে কৃষকদের মাথায় হাত
নদীয়ার হাঁসখালীর শান্তিনগর গ্রামের হাতিবান্ধা মৌজার মাঠ ভর্তি পাট চাষ হয়েছে,এখানকার কৃষকদের কাছে পাট একটা অর্থকরী ফসল । প্রতিবছর কৃষকেরা অল্প অল্প করে খরচ করার পর একসঙ্গে দূর্গা পুজোর আগেই পাট বিক্রি করে অর্থ হাতে পান। কৃষকেরা জানাচ্ছেন এবারও তাদের পাট খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার খামখিয়ালীতে সব শেষ ।গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষীরা । পাট লাগানোর সময় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ডিজেল চালিত পাম্প মেশিন দিয়ে জল দিতে হয়েছে । বর্তমানে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ায় পাটের জমিতে জল জমে গিয়েছে। ফলে পাটগাছ মরে যেতে শুরু করেছে । অতিরিক্ত জল জমায় সর্বনাশের কারণ হয়েছে পাট চাষীদের ।এই অবস্থায় চাষীরা কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না । অন্যদিকে তাদের চিন্তার কারণ মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে পাট চাষ করেছেন । পাট চাষ যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিভাবে মহাজনের টাকা তারা শোধ করবেন, সেই চিন্তায় চাষীদের এখন মাথায় হাত । চাষী নীলকমল বিশ্বাস বলেন, পাট চাষে ক্ষতি হয়েছে তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা । যদি সরকার থেকে কিছু ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয় তাহলেই তারা বাঁচবেন । স্থানীয় কৃষক জলধর রায় বলেন, শ্রাবণ মাসের শেষের দিকেই আমাদের এই পাট গুলো জমি থেকে কাটা হতো । যা খরচ করার তা তো হয়েই গেছে । এই অবস্থায় যদি পাট গাছ সব মরে যায় তাহলে তাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই । একমাত্র সরকার পারে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করতে। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালী তে একাংশ চাষীর চারা অবস্থায় পাট চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এখন দিশাহীন প্রত্যেকটি চাষী।