কয়েকটি অভ্যাসেই মিটতে পারে থাইরয়েডের সমস্যা
থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাক ক্রিয়া, শক্তি উৎপাদন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদিও থাইরয়েডজনিত সমস্যায় সাধারণত চিকিৎসা দরকার পড়ে, তবে কিছু সকালের অভ্যাস আছে যা প্রাকৃতিকভাবে থাইরয়েডের যত্নে সহায়ক হতে পারে।
* সূর্যালোক গ্রহণ: সকালে সূর্যালোক গ্রহণ শরীরের সার্কাডিয়ান রিদম ঠিক রাখতে এবং ভিটামিন D সরবরাহে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন D-এর ঘাটতি হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাশিমোটো থাইরয়েডাইটিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
* অয়েল পুলিং: অয়েল পুলিং হল এক প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি, যেখানে তেল মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ঘোরানো হয়। এটি মুখের জীবাণু কমায় ও টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরের প্রদাহ কমে যা থাইরয়েডের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
* যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন: যোগ ও ধ্যান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা থাইরয়েড সমস্যাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। বিশেষ কিছু যোগাভ্যাস যেমন শোল্ডার স্ট্যান্ড এবং হালাসন থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে।
* হারবাল চা পান: তুলসী বা অশ্বগন্ধার মতো হারবাল চা দেহের স্ট্রেস ও ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সহায়তা করে, যা থাইরয়েড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে অশ্বগন্ধা থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
* পুষ্টিকর প্রাতরাশ: সকালের খাবারে আয়োডিন, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক যুক্ত পুষ্টিকর খাবার থাইরয়েড ফাংশন ভালো রাখতে সহায়তা করে। এর মধ্যে সামুদ্রিক খাবার, বাদাম এবং বীজ থাইরয়েডের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
