ভাঙা বিমান নিয়েই পাইলট পৌঁছালেন শ্রীনগরে
যেন মৃত্যুর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলেন সমস্ত যাত্রীরা। তাদের জীবনে হয়ে গেলো এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পুঞ্চ, রাজৌরি সহ একাধিক জায়গা তাদের ঘুরে দেখার কথা। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ পরিস্থিতির পর এখন তারা কেমন আছেন, সে বিষয়ে কথা বলবেন। দেবেন পাশে থাকার বার্তা। সেই উদ্দেশেই বুধবার দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাগরিকা ঘোষ, নাদিমুল হক, মানস ভুঁইয়া ও মমতা বালা ঠাকুর। ইন্ডিগোর 6E2142 বিমানটি মাঝ আকাশে ওড়ার পরই প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে। থরথর করে কাঁপতে থাকে বিমান।
ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেন পাইলট। তাও যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই শ্রীনগরের দিকে এগোয় বিমানটি। কিন্তু শ্রীনগরে ঢুকতেই এমন শিলাবৃষ্টি শুরু হয় যে বিমানের নাক বা নোজ কোনই ভেঙে যায়। কোনওমতে বিমানটি ল্যান্ড করানো হয়। ভয়ঙ্কর ওই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে সাগরিকা ঘোষ বলেন, “প্রায় মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ছিল। আমি তো ভেবেছিলাম জীবন শেষ হয়ে গেল। আশেপাশে সবাই চিৎকার করছিল, প্রার্থনা করছিল, আতঙ্কে ছিল।” তবে এত প্রতিকূল আবহাওয়াতেও সুরক্ষিতভাবে বিমান অবতরণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে পাইলটকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সাগরিকা ঘোষ বলেন, “পাইলটকে হাটস অফ যে ওই আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে নিয়ে এসেছেন। আমরা ল্যান্ড করার পর দেখি যে বিমানের সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছে।”