আজ, সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন ব্রাত্য বসু
অনেকদিন ধরেই চাকরিহারা শিক্ষককেরা বিকাশভবনে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছে। পুলিশ লাঠিপেটা করেছে তাদের। তবুও তারা আন্দোলনে অনড়। শনিবার রাজ্য সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছিলেন এই আন্দোলনকারীরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সোমবারের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে চাকরিহারারা। আজ সোমবার। সেই মেপে দেওয়া সময়সীমার একেবারে শেষ দিন। শিক্ষামন্ত্রী যদি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেন, তবে কি শেষমেশ আরও বড় আন্দোলনের পথে এগোবে চাকরিহারা শিক্ষকরা। এই প্রসঙ্গে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভরত এক চাকরিহারারা জানিয়েছেন, ‘নেতৃত্ব তরফে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা আমরা এখন প্রকাশ্যে আনতে পারব না।’ বলে রাখা ভাল, চাকরিহারাদের সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রবিবার তিনি বলেন, ‘ওদের মাথায় নেতিবাচক ভাবনা ঢোকানো হচ্ছে।
এদিকে আন্দোলনকারীরা আরও বড়ো আন্দোলনে যেতে চাইছেন। এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও ওদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওরা বসতে চাইলে নিশ্চয় আলোচনা করব।’ উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা-বার্তার পর সোমবার ফের একবার নিজেদের দাবি-দাওয়া সরকারের কাছে লিখিত ভাবে জমা করতে চলেছেন চাকরিহারারা। তারা জানিয়েছে, ‘সকাল ১০টা নাগাদ দাবিপত্র ফের পেশ করা হবে। এরপর আমরা সন্ধ্যা অবধি অপেক্ষা করব। দেখব, সরকার কি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’ নেই আলো-পাখা। পর্যাপ্ত বায়ো-টয়লেট। বিকাশ ভবনের সামনের ফুটপাতে নাজেহাল হয়েই নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে চলেছে চাকরিহারারা। চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সাফ দাবি, যেখানে অবস্থানে বসবে তারা, সেখানে বিদ্যুৎ-পাখা, আলো, জল ও বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।