পূর্ব বর্ধমান
কালনার সাথী মন্ডলের প্রতিভা নষ্ট হতে চলেছে অভাবের কারণে
কালনার এক অতি দরিদ্র পরিবারের কন্যা সাথী। বাবা টোটো চালক আর মা আয়ার কাজ করেন। কিন্তু থেমে থাকে নি সাথী। সাথী যোগাতে অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে।
জাতীয় স্তরের যোগা প্রতিযোগিতায় জোড়া পদক জিতে সারা দেশের নজর কেড়েছে সে। দিল্লিতে আয়োজিত দ্বিতীয় এশিয়ান যোগা স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপেও দুটি সোনার পদক জয় করেছে ২১ বছরের তরুণী। ২০২৬ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যও মনোনীত হয়েছে সাথী। কিন্তু সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছনোর এই স্বপ্নের পথ এখন থমকে যেতে বসেছে অভাবের নির্মম বাস্তবতায়।
ছোটবেলা থেকেই সাথী নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একের পর এক পুরস্কার এনেছে। কিন্তু এই গর্বের মুহূর্তগুলোর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কঠিন লড়াইয়ের ইতিহাস। বলাগড় বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ফিজিক্যাল এডুকেশনের ছাত্রী সাথী এখনও একটা ছোট ভাঙাচোরা ঘরের মধ্যেই প্রতিদিন যোগাসনের চর্চা করেন। সেই ঘরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে তার অর্জিত অসংখ্য মেডেল ও ট্রফি। যেগুলি শুধু তার সাফল্যের স্মারক নয়, বরং বড় একটা স্বপ্নকেও বহন করে। সাথী মণ্ডল জানিয়েছেন,”স্বপ্ন রয়েছে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। এখন প্রতিদিন আমি অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। আর্থিক অভাব তো রয়েইছে। তবে জানিনা এরপর কি হবে।”
