ভ্রমণ
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি এখন পর্যটকদের নজর কেড়েছে
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লক। ট্যুরিজমের দিক থেকে এই ব্লকের নাম খুব একটা শোনা যায় না। মূলত শোনা যায় খাতড়া ও ছাতনা ব্লকের নাম। কিংবা বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল অথবা বিষ্ণুপুর। তবে এই গঙ্গাজলঘাটি ব্লক বাঁকুড়া শহরের খুবই কাছে। বাঁকুড়া শহর হয়ে হেবির মোড় থেকে মেজিয়ার রাস্তা ধরে ১৫ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে। এটি এমন একটি ব্লক যেখানে রয়েছে জল, পাহাড়, এবং ইতিহাসের অনন্য মেলবন্ধন। তাই বর্ষায় অবশ্যই চলে আসুন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে। গঙ্গাজলঘাটি ঢোকার পরে, গঙ্গাজলঘাটি লক্ষণপুর রোড ধরে সোজা ১১ কিলোমিটার গেলেই রাজা মেলা গ্রাম। রাজা মেলা গ্রামের ভিতরেই রয়েছে একটি নাম না জানা অচেনা পাহাড়। পাহাড়টি বাইরে থেকে দেখলে আপনি ঠিক ঠাহর করতে পারবেন না, মনে হবে ছোট এক সবুজে গালিচায় ঢাকা টিলা। এই টিলাটির কাছে গেলেই দেখতে পাবেন এটি সুবিশাল দরজা।
পাহাড়ের গায়ে রয়েছে দুটি মন্দির, একটি মা নাচন চণ্ডী এবং অপরটি নতুন তৈরি হওয়া বিষ্ণু মন্দির। এবার ধীরে ধীরে উপরে আসুন। দেখবেন পাহাড়ের উপরে যেন এক সমতল ছোট্ট ভ্যালি। তারপর রয়েছে একটি পাথরের ছোট্ট রাস্তা। মাত্র কয়েক ফুট উপরে উঠলেই পাহাড়ের চূড়া। পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সুবিশাল পাথর। এই চূড়া থেকে দেখতে পাবেন দূর-দূরান্ত পর্যন্ত। আনন্দ নিতে পারবেন সূর্যাস্তের। বর্ষা যেন চারিদিক সেজে উঠেছে নতুন সাজে।