হুগলি
স্ত্রীকে খুন করে উত্তরপাড়া থানায় আত্মসমর্পন বৃদ্ধ অশোক চট্টোপাধ্যায়ের
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি হওয়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। বহু পরিবারেই তা হয় ও মিটেও যায়। কিন্তু কখনো কখনো তার থেকেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। যেমন ঘটেছে হুগলির কোন্নগর মাস্টারপাড়ায়। স্ত্রীকে খুনের পর দিদিকে প্রণাম! ইতিমধ্যেই থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী। মৃতার নাম সবিতা চট্টোপাধ্যায় (৫৮)। স্বামী অশোক চট্টোপাধ্যায় কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন কর্মী। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক তাঁর স্ত্রী সবিতাকে খুন করে আত্মসমর্পণ করেছেন। স্ত্রীর দেহ বাড়িতে রেখে দরজায় তালা দিয়ে তিনি দিদির কাছে যান। দিদি চন্দনা চট্টোপাধ্যায়কে প্রণামও করেন। পরে থানায় গিয়ে আত্ম সমর্পন করেন।
জানা যাচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি ছিল। অশোকের দিদি চন্দনা, খুড়তুতো দাদা সহৃদ, বৌদি লীনা চট্টোপাধ্যায়রা জানান, গতকালও দু’জনের মধ্যে চরম অশান্তি হয়। রোজ দু’জনে ঝগড়া করতেন। বর্তমানে কোনও কাজও করতেন না অশোক। ধার-দেনাও করেছিলেন। যদিও সেই নিয়ে অশান্তি নাকি অন্য কারণে খুন সেটা তাঁদের জানা নেই। অন্যদিকে স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ দরজার তালা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।