বিকাশভাবনে প্যারাটিচারদের অভিযান - কিছু প্রাসঙ্গিক কথা
প্যারাটিচার বা পার্শ্ব-শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে বাম আমলে প্রথম নিয়োগ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে আরো কিছু প্যারাটিচার নিয়োগ করা হয়। এরা প্রায় অধিকাংশ স্কুলের ক্লাসরুমের একটা বড়ো দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে এরা অনেকটা পিছিয়ে আছে। তাই মূল্য বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে বুধবার এই প্যারা টিচারেরা বিকাশভবন অভিযান করেন। এই বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষাবন্ধু, স্পেশাল এডুকেটর, এমএসকে, এসএসকে কর্মীদের অভিযান করেন। ২০২৪ সালের ১ মার্চ জারি হয়েছিল সরকারি আদেশ নামা। সেই আদেশনামা সংক্রান্ত ফাইল দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে অভিযান করেন তাঁরা। বিকাশভবন অভিযানে সামিল শিক্ষা দফতরের কর্মীরাও। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৮ সালের পর ৭ বছর কোনও বেতন বাড়েনি সর্বশিক্ষা মিশনের পার্শ্বশিক্ষক-সহ শিক্ষাকর্মীদের।
প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বর্তমানে প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকরা বেতন পান ১০ হাজার টাকা, উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন ১৪ হাজার টাকা, শিক্ষাবন্ধু ৮০০০ টাকা। তাঁদের বক্তব্য, গত সাত বছরে একটা টাকাও বেতন বাড়েনি। এই টাকায় তাঁরা কীভাবে সংসার চালাবেন? এমএসসি পাশ এক শিক্ষিকা বলেন, “এখন যে টাকাটা পাই, তাতে কিছুই হয় না। যাতে একটু বেতন বৃদ্ধি করে রাজ্য সরকার, তাই এই অনুরোধ। আমরা কোনও আন্দোলনে নেই, আমরা আবেদন জানাচ্ছি।" বহু বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য যে এখন অনেক স্কুলের মূল শক্তি এই প্যারা টিচাররা। অথচ তাঁরাই আছে প্রদীপের নিচে ঘোর অন্ধকারে। বিকাশভাবনে অবস্থানরত একজন প্যারা টিচার কাতর হয়ে বলে, “একটু ভালভাবে যাতে বাঁচতে পারি, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যাতে সমতা রেখে চলতে পারি, সেটাই মুখ্যমন্ত্রী একটু দেখুন। আমাদের তো ভদ্রভাবে একটু স্কুলে যেতে হয়, সবটা মিটিয়ে আর ভালভাবে সংসার চলছে না, তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হল।” আমরাও মনেকরি দ্রুত প্যারা টিচারদের বেতন বৃদ্ধি হওয়া দরকার।