ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র ৭ লক্ষ ভোটে অভিষেকের জয় নিয়ে তীব্র আক্রমন শুভেন্দুর
শুভেন্দু ও অভিষেক - দুজনেই আসলে একই গাছের ফল, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবিক কারণেই তাঁরা দুজনেই জানেন তাদের ভোট প্রক্রিয়া। তবে এই মুহূর্তে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে। তাই তার সমস্ত অভিযোগ ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। সেই পরিস্থিতিতেই বুধবার শুভেন্দু ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ভোট প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ৯০০ বেশি বুথে EVM-এ টেপ লাগানো ছিল। প্রতি বুথে ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট, আর বাইরে জাহাঙ্গির বাহিনী। ভোট না দিলে দেওয়ার হয়েছিল মারধরের হুমকিও। বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর। সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “তিনি নাকি সাত লক্ষ ভোটে জিতেছেন। জানেন, ৯০০-র বেশি বুথে সেলোটেপ লাগানো ছিল। ৮ জন করে পোলিং এজেন্ট জাহাঙ্গির বাহিনীর। আপনি যদি গিয়ে ভিতর থেকে চিৎকার করেন, যে আমি পদ্মফুল বা অন্য কোনও প্রতীক খুঁজে পাচ্ছি না, তাহলে আপনি যখন বুথ থেকে বেরোবেন, তখনই মারবে। আবার যদি নাও টেপেন, শব্দ না হয়, তাও মারবে। এই করে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছে।” যদিও সরাসরি এই কথাকে অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি ও শুভেন্দুকে 'ভোটচোর' বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত মনে রাখতে হবে,২০২৪ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের মার্জিন বাম আমালের সমস্ত পরিসংখ্যানকে পিছনে ফেলে ফিয়েছিল। রেকর্ড সাত লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন অভিষেক। আর এই জয়ের ব্যবধান নিয়েই সরব বিজেপি। কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে বিস্ফোরক এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এরপরই অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি পেনড্রাইভে তথ্য নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছন। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এর আগে ওনার দলের মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই একই কথা বলেছিলেন। যে যে তথ্যে অসঙ্গতির কথা তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে সমস্ত তথ্য সম্বলিত ভিডিয়ো ডেটা দিয়ে এসেছিলেন। তাও এখনও পর্যন্ত তার কোনও উত্তর পাইনা।”