পুরুলিয়া
মশার অত্যাচার কমাতে পুরুলিয়া পৌরসভার নয়া উদ্যোগে
মুয়ালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া বেড়েই চলেছে সারা রাজ্য জুড়ে। পিছিয়ে নেই পুরুলিয়া জেলাও। এই মুহূর্তে মশাবাহিত রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পুজোর সময় তা ভয়াবহ আকার নিতে পারে। তাই মশা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। মূলত পুকুর ও জলাশয়গুলিতে মশার লার্ভা জমার কারণে এই সময় মশার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই মশার সংখ্যা যাতে না বাড়ে, তার জন্য পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কর্মসূচি নিয়েছে পুরুলিয়া পৌরসভা। এইদিন পুরুলিয়া শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের নাজির বাঁধে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে তাদের হাত দিয়েই এই মাছ পুকুরের জলে ছাড়া হয়। এ বিষয়ে পুরুলিয়া পৌরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালী বলেন, পুরুলিয়া শহরের ২৩-টা ওয়ার্ডে মোট ৬০ হাজার গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নাজির বাঁধে প্রচুর লার্ভার জন্ম হয়। এই বাঁধে চার হাজার মাছ ছাড়া হয়েছে। যে হারে মশার পরিমাণ বাড়ছে, মশা দমন করতে গাপ্পি মাছই তার একমাত্র অস্ত্র। এর ফলে মশা বৃদ্ধির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ বিষয়ে তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনয় কবিরাজ বলেন , পড়ুয়াদের মধ্যে জন সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে, তাদের হাত দিয়েই নাজির বাঁধে গাপ্পি মাছ ছাড়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়। এরই পাশাপাশি দ্রুত এই বাঁধ সংস্কারের কথা বলেন তিনি।বিগত বছরগুলির তুলনায় এ বছর বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেশি রয়েছে জেলায়। এর ফলে মশা, মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মশা নিয়ন্ত্রণ করতে গাপ্পি মাছ ছাড়ার উদ্যোগ পৌরসভার।