'৭১ এর গণহত্যা ভুলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক চুক্তি সেরে ফেললো
নিজেদের পূর্বপুরুষদের প্রতি কোনো সম্মান দেখালো না ইউনুস। শেখ হাসিনা যা পেরেছে, তা পারলো না ইউনুস। কারণ কূটনীতিকরা বলছেন শেখ ইউনুস অনেকটাই পাকিস্তানের হাতের পুতুল হয়ে গেছে। পাকিস্তানের সেনাকর্তা জেনারেল শাহিদ শমসদ মির্জা ঢাকা সফরে গিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও কীভাবে দৃঢ়় করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিবৃতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর (Inter-Services Public Relations) জানিয়েছে, বৈঠকে দুই দেশই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ইতিবাচক দিক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে সামরিক নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে নিয়মিত প্রতিনিধি বিনিময়ের বিষয়েও একমত হয়েছে দুই পক্ষ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বদলে যাওয়া আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের। পাশাপাশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও মজবুত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
অথচ শেখ হাসিনা কিন্তু পাকিস্তানকে দূরে রেখেই দেশ চালিয়েছে। বরং হাসিনা অনেকটাই ভারত পন্থী ছিলেন।বস্তুত, শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লিগ ভারতের বন্ধু। হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত ছিল না। কিন্তু মহম্মদ ইউনূস যখন থেকে দায়িত্ব নিয়েছে, জামাত ই ইসলামির মতো কট্টরপন্থিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানও কাছে এসেছে। পাকিস্তান মানেই জঙ্গিদের ঘাঁটি। যার ফল, পাকিস্তান এখন অবাধে বাংলাদেশে জঙ্গিনেতাদের পাঠাচ্ছে, এবং ভারত বিরোধী উস্কানিও দিচ্ছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, পাকিস্তানের কুখ্যাত জঙ্গি ইবতিসম ইলাহি জাহির এখন বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জঙ্গি তালিকায় উজ্জ্বল নাম। পাক জঙ্গি সংগঠন মারকাজি জমিয়ত আহল ই হাদিতের জেনারেল সেক্রেটারি। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছেছে।

 
 
 
