মঙ্গলবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মন্ডপ
এমনিতেই পুলিশের আদর্শ বিধি না মেনেই প্যান্ডেল করেছিল চন্দননগরের কানাইলাল পল্লী ক্লাব। আর 'মন্থা'র প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেলে কিছুটা ঝড় শুরু হলেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই মন্ডপ। এবার দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ বিশ্বের সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী। সবথেকে বড় জগদ্ধাত্রী ঠাকুর গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল হুগলির চন্দননগরের কানাইলাল পল্লী ক্লাব। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে ঘটে গেল বিরাট বিপর্যয়। হাওয়ার দাপটে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মণ্ডপ। ৭০ ফুটের পুজোমণ্ডপ তৈরি করে চমক দিয়েছিল কানাইলাল পল্লী ক্লাব। সপ্তমীতেই বেশ ভিড় হয়েছিল মণ্ডপে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ জগদ্ধাত্রী দেখতে উৎসুক ছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু উচ্চতা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গোটা মণ্ডপ। শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। বাঁশ চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর।
খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ আধিকারিকরা। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানান, এখন সকলে ঠিক আছেন। প্যান্ডেলের কাঠামো সরিয়ে দেখা হয়েছে নীচে আর কেউ চাপা পড়ে নেই। আগে প্যান্ডেলের কাঠামো ভালো করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিকে। তারপরেই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হবে মণ্ডপ। প্রসঙ্গত, প্রায় ৭০-৭৫ ফুটের বিশালাকার ফাইবার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা গড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল কানাইলাল পল্লী ক্লাব। এর আগে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক বিশ্বের সবথেকে বড় দুর্গা প্রতিমা গড়ে হইচই ফেলেছিল। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশপ্রিয় পার্কের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেই জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই চমক দিতে চেয়েছিলেন পুজো কমিটি।

 
 
 
