আজ দুপুর ১২ টায় শিলান্যাস হতে চলেছে হুমায়ূনের নতুন 'বাবরি মসজিদের'
মুর্শিদাবাদ জেলায় ৭০ শতাংশ ইসলাম ধর্মের মানুষ। কমবেশি ৩০ শতাংশ হিন্দু। এখানেই মুসলিমদের ধর্মপালনের জন্যে বাবরি মসজিদ তৈরীর কথা অনেক আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাই শুরু হতে চলেছে আজকে। মসজিদের শিলান্যাস উপলক্ষে বেলডাঙার মরাদিঘি এলাকায় বিশাল আয়োজন হয়েছে। শনিবার থাকছে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। সে জন্য মুর্শিদাবাদের সাতটি ‘কেটারিং’ সংস্থাকে খাবার তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে। ৪০ হাজার অতিথির জন্য বিরিয়ানি প্রস্তুত করছে তারা। অন্য দিকে, এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করেছে প্রশাসন। হুমায়ুন জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১২টায় মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। তবে তার ২ ঘণ্টা আগে থেকে আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যাবে।
এদিকে সম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার কারণে শনিবার হুমায়ুনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। পরিস্থিতি বেশ জটিল। রাজ্য থেকে তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলাম ধর্মগুরুরা আসছেন তাঁর মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে। সমস্ত কাজ সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য শুক্রবার থেকে প্রায় ২০০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আয়োজকদের দাবি, মঞ্চ, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। মসজিদের শিলান্যাস উপলক্ষে প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৮০ ফুট চওড়া একটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। প্রায় ৪০০ অতিথির বসার ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। হুমায়ুনের নিজের দাবি, বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অদূরে মরাদিঘি মোড়ের কাছে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে শনিবার জড়ো হবেন ৩ লক্ষ মানুষ।
আজকের সূচি সম্পর্কে প্রাক্তন বিধায়ক বলেন -
* শনিবার সকাল ৮টা: বিশেষ অতিথিদের আগমন। সৌদি আরব থেকে উড়িয়ে আনা দুই ক্কারী (ইসলামিক ধর্মগুরু) কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ে মূল মঞ্চে পৌঁছোবেন।
* সকাল ১০টা: কোরান তেলাওয়াত শুরু অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে। কোরান পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে।
* বেলা ১২টা: শিলান্যাসের মূল অনুষ্ঠান শুরু।
* দুপুর ২টো: অনুষ্ঠান সমাপ্তি এবং খাওয়াদাওয়া।
* বিকেল ৪টের মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হবে অনুষ্ঠানস্থল।
