আর কিছুক্ষনের মধ্যেই ৩২ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে চলেছে
হ্যাঁ, বহু প্রতীক্ষার পরে সেই মহেন্দ্রক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে ৩২ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভাগ্য। শেষ হয়েছে প্রাথমিকের বত্রিশ হাজারের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ তাঁরা রায় ঘোষণা করবেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে চিরকাল বাংলার মানুষ মনে রাখবে। এমন দুর্নীতি বাংলায় আর হয়েছে বলে কেউ স্মরণ করতে পারে না। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছিল। পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল ছিল সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর ফের প্রাথমিকেও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২৩ সালে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এরপর সেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। ইতিমধ্যেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। এবার হবে রায়দান। একবার নয়, দুবার হয় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রথমে নিয়োগ পান ৪২,৯৪৯ এবং পরবর্তীতে ১৬ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। অপরদিকে,পর্ষদের দাবি ছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা সংশোধন করা হয়েছে। যদিও, ২০২৩ সালে তৎকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেন।
সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে আর কিছুক্ষনের মধ্যেই সামনে আসবে রায়দান।
