সম্পাদকীয়
হুমায়ুন কবীর এবার কি মুখ্যমন্ত্রীর গলার কাঁটা হয়ে উঠতে চলেছেন?
আর নয়, তিনবার তাকে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি দলের শৃঙ্খলা মানছেন না। স্বাভাবিক কারণেই এবার সাসপেন্ড করা হলো তৃণমূলের বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের সাফ কথা, “ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে, তাদের সঙ্গে দল কোনও সম্পর্ক রাখবে না।” হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুঙ্গে চর্চা। বহরমপুরের সভা থেকে নাম না করে বিদ্রোহী হুমায়ুনের তুলোধনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আগেও হুমায়ুনের সঙ্গে বারবার জুড়েছে বিজেপির প্রসঙ্গ। এদিন হুমায়ুনের নাম মুখে না আনলেও মমতা বলেন, "ভোটের আগে কেউ কেউ বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে এইসব করেন। অশান্তির প্রশ্রয় দেবেন না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে নির্বাচনের আগে বিজেপির তাবেদারি করে।” এদের দেশের শত্রু বলেও কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে। হুমায়ুনের বাবরি মসজিদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুঙ্গে চর্চা। বহরমপুরের সভা থেকে নাম না করে বিদ্রোহী হুমায়ুনের তুলোধনা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। আগেও হুমায়ুনের সঙ্গে বারবার জুড়েছে বিজেপির প্রসঙ্গ। এদের দেশের শত্রু বলেও কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে।
আর কাল বিলম্ব না করে মুখ খুলেছেন হুমায়ুন। হুমায়ুন বলছেন, “বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ করার কথা বলে বেশ করেছি। ক্ষমতা থাকে তো রুখে দেখাক।” ঠিক এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “আগামীতে এই আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে সরাসরি বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক আমি স্বাগত জানাব। আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রী যদি আমার বিরুদ্ধে এসব প্রমাণ করতে চায় আমি প্রমাণ করে দেব তিনি মন্দির নিয়ে আছেন। তিনি পুজো করার জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছেন, তিনি কার্নিভাল করছেন। তিনি জগন্নাথ মন্দির করে মুসলামদের ইমান নষ্ট করার জন্য প্রসাদ বাড়ি বাড়ি বিলি করছেন। এটা কতদিন থাকে এটা দেখব আমি।" নতুন দলের প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “আমি নতুন দল করে ২৯৪টা আসনের মধ্যে ১৩৫টা আসনে লড়ব। দলের স্লোগান একটাই মুর্শিদাবাদ সহ বাংলার উন্নয়ন।" স্বাভাবিক কারণেই নাগরিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের গলার কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন হুমায়ুন কবীর।
