হুমায়ুন কবীর ও বাবরি মসজিদ - বাংলায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা
এক আশ্চর্য রাজনৈতিক সমীকরনের মধ্যে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলার মানুষ। এ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। ভোটের বাদ্যি বাজার আগেই মুর্শিদাবাদের রাজনীতি উত্তপ্ত। ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনই মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন তৃণমূলের এই বিধায়ক, থুড় বিক্ষুদ্ধ বিধায়ক। দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ রয়েছে তাঁর। বিধায়কের এই উদ্যোগ নিয়ে BJP যখন তীব্র সমালোচনা করছে, তৃণমূল তখন নিশ্চুপ। দলের কোনও প্রতিনিধি তাঁর এই শিলান্যাস উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও দূরত্ব মেটাতে তাঁকে বরং আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতার বিষ্যুদবারের সভাতে।
মুর্শিদাবাদ একটা সময় ছিল কংগ্রেসের গড়। তবে তারাই এখন সেখানে কোণঠাসা। বহরমপুর বলতেই যেখানে একজনের নাম মাথায় আসত সেই অধীর চৌধুরী ২০২৪ সালের লোকসভায় হেরেছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে। উল্টে এই জেলায় শক্তি বৃদ্ধির খেলায় জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে BJP। তবে শুধু BJP-ই নয়, এই দুই জেলায় শাসকদলের মাথাব্যথার আরও এক কারণ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির AIMIM। ভোট কাটাকুটির খেলায় এই দল অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র দু'টিতে জয়ী হন BJP প্রার্থীরা। ২০২৩ সালে সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন বাম-কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। তবে তিনি পাল্টি খেয়ে যোগ দেন তৃণমূলে। আবার ২০২৪-এ অধীর জমানার অবসান ঘটিয়ে ফেলেন তৃণমূলের ইউসুফ। তবে এবার মুর্শিদাবাদ কোন দিকে যাচ্ছে - তা দেখা যাবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে।
