সম্পাদকীয়
২৩ জেলায় মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করলেন ২৩ জন আমলা
'২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সব দল উঠেপড়ে লেগেছে তাদের তাদের ভোট বাক্স বাড়াতে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নতুন দিক নির্দেশ। রাজ্য সরকারের একাধিক সামজিক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।মূলত , এসআইআর-এর আবহে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় জেলা শাসকদের। সেই সময় মিটিংয়ে ভার্চুয়ালি ঢুকে মমতা স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, এসআইআর নিয়ে কোনও চাপ তাঁরা বরদাস্ত না করেন। উন্নয়নের কাজ যেন বহাল থাকে। এরপর ১ ডিসেম্বর মমতা সাড়ে চোদ্দ বছরের কাজের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরেছিলেন। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত এই সরকারের ৯৫ টি প্রকল্প চলছে। তার মধ্যে কয়েকটি প্রকল্প যেমন-‘বাংলা আবাস যোজন’, ‘পথশ্রী’,’রূপশ্রী’ ও’আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের কাজ ঠিকঠাক ভাবে হচ্ছে কি না তা বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। স্বাভাবিক কারণেই এর মধ্য দিয়ে ভোটের আগে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীকে ভোটের বাজারে অনেক এগিয়ে রাখবে তাঁর অজস্র জনমুখী প্রকল্প। আর সেটাকে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এই প্রকলগুলো। জানা যাচ্ছে, প্রকল্পগুলিতে নজর দিতে জেলাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সচিবদের। ২৩ জন আমলাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, মূলত এই জনমুখী প্রকল্প দিয়েই মানুষের কাছে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছতে চাইছেন। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কোনও কাজের অগ্রগতি নই। আসলে ফেক ভোটার তালিকায় নাম রাখার জন্যই সরকার কাজ করছে। গতকাল ৫০ লক্ষ নাম বাদ গেছে যা শুনলাম। এখন ৭ কোটি মতো লোকের নাম আসতে চলছে। এরপর শুনানিতে ডাকবে। যাঁরা ভুলভাল ফিলাপ করেছেন তাঁদের তো শুনানি পর্বের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। দেখা যাক।”
