মঙ্গলবার শুভেন্দুর পরে বুধবার মমতার সভা মালদায়
প্রায় সামনে চলে এসেছে বিধানসভা নির্বাচন। ময়দানে হাজির সকলেই। পূর্ণ শক্তি নিয়ে মুখোমুখি উপস্থিত বিজেপি ও তৃণমূল। মঙ্গলবার যে মালদায় হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, বুধবার সেখানেই জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার মালদার ইংরেজবাজারের সভা থেকে বার্তা দেন, 'ভাষা, জাতের নামে বিভক্ত হওয়া যাবে না। হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কেউ বা কারা বলে, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আর এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা, ধর্ম যার যার, আর রক্ষা করার দায়িত্বও তার। আমরা ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, জাতের নামে বিভক্ত হয়ে যাই। এর সুযোগ অন্যরা নেয়। তাই, আপনাদের ভাষার নামে, জাতের নামে বিভক্ত হওয়া যাবে না।' ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ' রাজধর্ম পালনের যাঁদের কথা, তাঁরা ভোটব্যাঙ্ক ও তোষণের রাজনীতির জন্য আমাদের সাহায্য করছেন না। আমরা আমাদের ভালটা অনেকে বুঝতে পারছি না। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতার জামা গায়ে দিয়ে রেখেছি। আমরা কাউকে আঘাত দিতে চাই না। আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। কিন্তু, আমরা কেন আক্রান্ত হব?'২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে জয়ী হন কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪১.৭৯%। উল্লেখযোগ্য ভাবে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩২.৪২%। সেখানে তৃতীয় স্থানে থাকা তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রইহানের প্রাপ্ত ভোট ছিল ২১.৯৮%।
উল্লেখ্য, যে ইংরেজবাজারে শুভেন্দু জনসভা করেন, সেটি মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার বিধানসভায় BJP প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫৮.৮৬% ভোট। কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছিলেন ২২.৫২% ভোট। তৃণমূল প্রার্থী ১৫.৫৩% ভোট পেয়েছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জিতেছিলেন BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি পেয়েছিলেন ৪৯.৯৭% ভোট। তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী পেয়েছিলেন ৪০.৬৫% ভোট। BJP প্রার্থী জিতেছিলেন ২০ হাজারের বেশি ভোটে। এবার দেখার আজ মমতা মালদা থেকেই কোন বার্তা দেন।
.jpeg)