সম্ভবত ইউনুস ইস্তফা দিতে চলেছেন
বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটজনক হতে চলেছে। একটা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। ৯ মাস আগে হাসিনা সরকারের পতনের পরে তাঁকে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু ৯ মাসের মধ্যে তিনি নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেন নি। ফলে ক্ষুব্ধ সবাই। বৃহস্পতিবারই মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনিই বেরিয়ে এসে জানিয়েছিলেন, ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন মহম্মদ ইউনূস। এরপরই গুঞ্জন রটেছে যে আগামিকাল, শনিবারই হয়তো ইস্তফা দেবেন মহম্মদ ইউনূস। প্রসঙ্গত গত বছর অগস্ট মাসে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী গণ আন্দোলনের মুখেই পতন হয়েছিল শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর আন্দোলনকারীরাই মিলে তৈরি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বসানো হয় নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে। দেশের সংস্কারের কথা বলে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও, সেভাবে কোনও সংস্কারই হয়নি বাংলাদেশে।
শুধুমাত্র হাসিনা-পন্থী প্রশাসনিক কর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে ইউনূস ঘনিষ্ঠদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে দাবি উঠছিল জাতীয় নির্বাচনের। তবে ইউনূসের নেতৃত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের আগে নির্বাচন করাতে কোনওমতে রাজি নয়। রাজনৈতিক দলগুলির চাপ তো ছিলই। তার উপরে দিন দুয়েক আগে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্য়েই নির্বাচনের জন্য চাপ দিতেই মহম্মদ ইউনূসের ইস্তফার জল্পনা। আওয়ামী লিগ-পন্থী এক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের দাবি, ইস্তফা দেওয়ার জন্য শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন মহম্মদ ইউনূস।