মিনাখাঁর বামনপুকুরের ঝিকরা হতে পারে আপনার পরবর্তী বেড়ানোর জায়গা
মনটাকে শান্ত রাখার জন্য খুবই জরুরি ধারে কাছে সুন্দর প্রকৃতির জগৎ থেকে ঘরে আসা। দূরে কোথাও যেতে হলে তাতে সময় খরচ দুটোই লাগে। তাই আজকে আমাদের ডিস্টিনেশন
শহরের ব্যস্ততা আর কোলাহল থেকে একটু দূরে শান্তি খুঁজতে চাইলে মিনাখাঁর বামনপুকুরের ঝিকরা হতে পারে একদম উপযুক্ত গন্তব্য। প্রকৃতির কোলে ঘেরা এই গ্রাম যেন এক নিভৃত সবুজ দ্বীপ, যেখানে পৌঁছেই মন ভরে যায় প্রশান্তিতে। এখানে নেই কোনও হট্টগোল, আছে শুধু সবুজের রাজত্ব আর গ্রাম্য জীবনের সহজ সরল ছোঁয়া। এখানে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়বে রাস্তার দুপাশে ঘন সবুজ গাছপালা। একদিকে বিশাল বিস্তৃত জলাশয়, যেখানে জেলেরা নৌকা বেয়ে মাছ ধরছে, অন্যদিকে মাঠ ভর্তি চাষ—ধান, শাকসবজি বা মৌসুমি ফসলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য যেন ছবির মতো সাজানো।
ভোরবেলায় বা বিকেলের সময় এখানে ঘুরতে বেরোলে শোনা যায় পাখির ডাক, বাতাসে মাটির গন্ধ আর দূরের কোনও গৃহস্থালির রান্নার ধোঁয়া। গ্রামের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে দেখা মিলবে গরু চরানো রাখাল, খালি পায়ে খেলছে ছোট ছোট বাচ্চারা, আর বৃদ্ধরা গাছের তলায় বসে গল্প করছে। কলকাতার সায়েন্স সিটি থেকে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে প্রায় এক ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় বামনপুকুরে। সেখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে এই শান্ত এলাকা। পথে চলতে চলতে চোখে পড়বে মাটির ঘর, সরু বাঁশের সাঁকো, আর হাওয়ায় দুলতে থাকা ধানগাছের সমারোহ। বর্ষাকালে ঝিকরার সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। জলাশয়ে ফুটে ওঠে শাপলা-শালুক, মাঠের কিনার ঘেঁষে ছোট ছোট জলধারা বইতে থাকে, আর গাছপালার সবুজ রং হয় গাঢ়। আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ফাঁক দিয়ে রোদ ঝলমল করলে এই দৃশ্য যেন জীবন্ত পোস্টকার্ডের মতো মনে হয়।