Type Here to Get Search Results !

৩৭ দিনে রাজ্যে তৃণমূলের ১০ নেতা-কর্মী খুন - পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

 ৩৭ দিনে রাজ্যে তৃণমূলের ১০ নেতা-কর্মী খুন - পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার 


  'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' প্রকল্প নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করেন। সেই মিটিংয়েই তাঁর মুখে উঠে আসে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার খুনের প্রসঙ্গ। হিসাব বলছে ৩৭ দিনে রাজ্যে তৃণমূলের ১০ নেতা-কর্মী খুন। ইংরেজবাজার, ভাঙড় থেকে সুতি। লাভপুর-মল্লারপুর থেকে কোচবিহার, বারবার গুলি-বোমা। সম্প্রতি বারবার টার্গেট হয়েছেন শাসক নেতা। একাধিক জায়গায় শাসক নেতা খুনে গোষ্ঠীদ্ব্ন্দ্বের দিকেই আঙুল উঠেছে। গ্রেফতার হয়েছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। সোনামুখীতে শাসক নেতা খুনের নেপথ্যেও কি তৃণমূলের কোন্দল? চাপনউতোর চলছেই। কয়েকদিন আগেই কোন্নগরে প্রকাশ্য রাস্তায় এলোপাথাড়ি কোপ মেরে খুন করা হয় দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। বাঁকুড়ায় আবার গত সোমবার রাত ৯টা নাগাদ পর পর গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের বুথ কনভেনারকে। অন্যদিকে কোচবিহারে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হয়েছে ডায়াগুড়ির পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলেকে। সব মিলিয়ে তৃণমূলের আভ্যন্তরিন অবস্থা যে খুবই খারাপ তা স্পষ্ট করেই বুঝতে পেরেছেন মুখমন্ত্রী।



  এদিন তিনি পুলিশ সুপার, আইসি, ওসিদের নিজেদের এলাকা দায়িত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ। কোনও পুলিশ অফিসারের নাম না করে এই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। গত কয়েক দিন ধরে বেশ কিছু জেলায় খুন হয়েছেন বেশ কিছু শাসক দলের নেতা। সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মতা ওয়াকিবহাল মহলের। মমতার সাফ কথা, থানার ভূমিকা ভাল করে দেখতে হবে। আইবি কেন আগে থেকে খবর পাচ্ছে না? প্রশ্ন মমতার। এরপরই রীতিমতো ক্ষোভের সুরে বলেন, দায়িত্ব নিয়ে বসে থাকলাম, কাজ করলাম না সেটা করলে হবে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিভিন্ন OC রা মোটেও নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না। এই চূড়ান্ত মাৎস্যন্যায়কে তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.