দঃ ২৪ পরগনা
গঙ্গাসাগরের ভয়ঙ্কর ভাঙন রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন
গত কয়েক বছর ধরেই জলস্তর বাড়ছে। ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে বিরাট গঙ্গাসাগর দ্বীপের বহু অংশ। বর্তমানে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের ধাক্কায় সাগরতট প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। বিগত কয়েকটা বছরে একটু একটু করে সমুদ্র গ্রাস করেছে সাগরের বেলাভূমি। সমুদ্র তট ভাঙতে ভাঙতে কপিলমুনির মন্দির থেকে আর মাত্র কয়েকশো মিটার দূর দিয়ে বইছে সমুদ্রের অসীম জলরাশি। উত্তাল বঙ্গোপসাগরের প্রবল জলোচ্ছ্বাস কপিলমুনির মন্দিরের সামনে নদী বাঁধ উপছে গঙ্গাসাগর মেলা গ্রাউন্ডে ঢুকছিল।
বর্তমানে আবহাওয়ার একটু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এই ভাঙন রোখা যাচ্ছে না। তবে প্রাশাসনিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে এরপর। ভাঙন রোখার মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এতকিছুর পরও কি আটকানো যাবে ভাঙন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এই বিষেয় রাজু মন্ডল নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, এইরকমভাবে কাজ হলে খুব সমস্যা হবে। ভাঙন রুখতে আরও পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সম্প্রতি জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল কয়েকটি ইলেকট্রিক পোস্ট ও ইটের রাস্তা। জানা গিয়েছে, মন্দিরের সামনে দিকে এক ও দুই নম্বর স্নানঘাট থেকে শ্মশান পর্যন্ত প্রায় হাফ কিলোমিটার ইটের রাস্তা ভেঙে তলিয়ে যায়। তবে এখন যে কাজ হচ্ছে,তা মূলত গঙ্গাসাগরের মেলা মাঠ বাঁচাতে শুরু পাইলিংয়ের কাজ। এই কাজ মূলত মেলা মাঠটিকে বাঁচানোর জন্য করা হচ্ছে। সাময়িকভাবে ভাঙন রুখতে এই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। এখন দেখার আবার নতুন করে, ভালো করে পাইলিঙের কাজ শুরু হয় কিনা!!