ভ্রমণ
এবারের গন্তব্য হোক নতুন বার্জিন সি-বিচ পুরুষোত্তমপুর সি বিচ
শরৎ এসে গেছে। বাতাসে বেশ আনন্দের ধ্বনি। এই সময় বাড়ির ধারে কাছে কোথাও একটু ঘুরে আসতে মন চাইছে। এবার এমন এক অজানা অচেনা সমুদ্র সৈকতের ঠিকানা বাঙালির বারবার দিঘা ও মন্দারমনি যাওয়ার একঘেয়েমি কাটিয়ে তুলবে। মন্দারমনির প্রায় তিন কিলোমিটার আগে দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর সি বিচ। অনেকের ইচ্ছা নির্জন কোনও সমুদ্র সৈকতে, সমুদ্রের গর্জন আর সামুদ্রিক পরিবেশ উপভোগ করার। যেখানে থাকবে না মানুষের কোলাহল, থাকবে না কোনও দোকানপাট, থাকবে না কৃত্রিম ভাবে সাজান সমুদ্র সৈকত। সেরকমই একটি সমুদ্র সৈকত হল দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর।
জনমানব শূন্য নির্জন বিচে শুধু লাল কাঁকড়ার আনাগোনা আর অসংখ্য ঝিনুকের ছড়াছড়ি। সৈকতের এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মত। বিচেই প্রকৃতিকে খুঁজে পাবেন। এখানে রয়েছে শুধুই প্রাকৃতিক উদ্দামতা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে বাতাসের শব্দ আর সমুদ্রের গর্জন আমাদের মোহাবিষ্ট করে করে রাখে পর্যটকদের। ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য ঝিনুক আর লাল কাঁকড়ার খেলে বেড়ান অপার্থিব সুখের আনন্দ দেবে। পুরো সৈকত জুড়ে অজস্র লাল কাঁকড়া খেলে বেড়াচ্ছে। সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে আবার ঢেউয়ের ঠেলায় ফিরে আসছে। কাছে গেলেই পালিয়ে যায়। লাল কাকড়ার সঙ্গে ছোটাছুটিতেই কেটে যাবে সময়। লাল কাঁকড়ার সমুদ্র স্নান দেখা পর্যটকদের আলাদা অনুভূতি দেবে। এই নির্জন বিচে শুধু পর্যটক আর প্রকৃতির মেলবন্ধন ছাড়া অন্য কিছুই নেই। এই সমুদ্র সৈকত জায়গাটা মন্দারমণি পথে মোটামুটি আড়াই-তিন কিলোমিটার আগে।