পুরুলিয়া
বলরামপুরে মা ও মেয়ে একসঙ্গে স্নাতক হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে
বয়স শুধুই একটা সংখ্যামাত্র। মন যদি স্থির রাখা যায়, তাহলে যেকোনো বয়সেই পড়াশুনা করা সম্ভব। সেই বিষয়টাই আবার প্রমাণ করলেন পুরুলিয়া বলরামপুরের ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূর দুলু মাহান্তি। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে এড়িয়ে এগিয়ে চলা সম্ভব নিজের লক্ষ্যের দিকে। সমাজের কটূ কথা, বয়সের ভার, কোনও কিছুই পিছুটান হয়ে দাঁড়াতে পারে না সেখানে। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে পিছনে ফেলে এক গৃহবধূ নিজের মেয়ের সঙ্গে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ৪০ বছর বয়সী গৃহবধূর দুলু মাহান্তি। তাঁর মেয়ে ২১ বছর বয়সী ইন্দ্রানী পতি। একইসঙ্গে মা-মেয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়ে যায় দুলু মাহান্তির। বিয়ের পর তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৩ বছর পর সমাজের পরোয়া না করে তিনি আবার পড়াশোনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৯ সালে তিনি মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বলরামপুর মালতি শ্যামনগর জিলপা লায়া বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ২০২২ সালে তিনি বলরামপুরের সিধু কানু কলেজে ভর্তি হন। তার এই যাত্রা পথে সব থেকে বেশি পাশে থেকেছেন তাঁর শাশুড়ি পুতুলরানি পতি। পরিবারের সকলের সহযোগিতায় তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মেয়ে ইন্দ্রানী পতির বিয়ে হয়েছে। তিনি বর্তমানে বড়বাজারে থাকেন। তিনি বর্তমানে বড়বাজারে থাকেন। চন্ডীতলা শিক্ষা নিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বরাবাজার বিক্রম টুডু কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। মা ও মেয়ের এই স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শেষ হয় একই সময়ে।