Type Here to Get Search Results !

আগুনমুখো ড্রাগন - সত্যি না কল্পনা?

 অফবিট 



আগুনমুখো ড্রাগন - সত্যি না কল্পনা?


  ড্রাগন। নিঃশ্বাসে যার আগুন। চোখ জ্বলে ভাটার মতো। এমন এক দানবকে ঘিরে আগ্রহ দুনিয়াজুড়ে। সর্বত্র অবশ্য শয়তান নয়, অনেক জায়গায় ড্রাগন দেবতাও। প্রাচীন পৃথিবীর কিংবদন্তি থেকে জনপ্রিয় সাহিত্য, ড্রাগন আছে সবখানেই। এ এক বিস্ময়। নানা দেশ, নানা সংস্কৃতি… কী করে সকলেই চিনে নিল ড্রাগনকে? সত্যিই কি কখনও পৃথিবীতে ঘুরে বেড়িয়েছে অগ্নিনিঃশ্বাসী প্রাণীটি? এমন কথা কল্পনাবিলাসীরা ভাবতেই পারেন। কিন্তু সত্যিটা হল এখনও পরিষ্কার নয়, কেন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ড্রাগন আবির্ভূত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, হয়তো এর নেপথ্যে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক ফসিলস! প্রাচীন যুগের মানুষেরা সম্ভবত পৃথিবীর গায়ে থেকে যাওয়া সুদূর অতীতের অতিকায় ডাইনোসোর-সহ নানা প্রাণীর দেহ-আকৃতির সন্ধান পেয়েছিল পাথরের খাঁজে-ভাঁজে। 


  আবার এমনও হতে পারে স্বাভাবিক মাপের থেকে বড় জানোয়ার দেখার বিস্ময় থেকেও ড্রাগন সৃষ্টি হয়েছে শিল্পীর কল্পনায় ভর দিয়ে। আজও সারা পৃথিবীর মানুষ ঘড়িয়াল কিংবা বিরাট কুমির দেখে হাঁ হয়ে যায়। এই বিস্ময়ই হয়তো পৃথিবীর নানা দেশে, সমাজে ড্রাগনের মতো প্রাণীর জন্মের কারণ হয়ে উঠেছে। কোথাও ড্রাগন আস্ত ঘোড়াকে গিলে নেওয়া ভয়াল ভয়ংকর প্রাণী! যারা সোনা জমায়। আবার কোথাও তাদের ভূমিকা রক্ষাকর্তার। তারা বৃষ্টি আনে, জনপদকে সুরক্ষা দেয়। প্রাচীন চীন থেকে মধ্যযুগীয় ইউরোপ, কিংবা প্রাচীন মেসোপটেমিয়া- ড্রাগন সর্বত্র বিরাজমান।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.