'মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনেই এবার তৃণমূল হারবে' - শুভেন্দু
একসময় মুর্শিদাবাদ ছিল কংগ্রেসের গড়। পরে কংগ্রেস কোথায় যেন হারিয়ে গেলো। মুর্শিদাবাদের ভোটার ঝুঁকলেন তৃণমূলের দিকে। এখন লোকসভার তিনটি আসনই তৃণমূলের দখলে। আর জেলার ২২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি রাজ্যের শাসকদলের। সেই মুর্শিদাবাদে নাকি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন পাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এমনই দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুর্শিদাবাদে লড়াইয়ে দেখা যাবে না তৃণমূলকে। সেখানে বিজেপির সঙ্গে লড়াই হবে কংগ্রেস, বাম ও আইএসএফের। গতকাল মালদহে সভা করে ফেরার পথে মুর্শিদাবাদের সুতিতে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, “জেলার ২২টি আসনেই তৃণমূলকে হারাবে। আমি বলে দিলাম। এখানে লড়াই হবে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফের। ২২টি আসনের একটিতেও তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। আমি সাগরদিঘিতে (২০২৩ সালের উপনির্বাচন) বলেছিলাম, তৃণমূল জিতবে না। আজকে সুতির মাটিতে বলে গেলাম, ২০২৬ সালে শূন্য হাতে তৃণমূলকে ফিরতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে জনসভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সুপ্রিমোর জেলা সফর নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছেন শামশেরগঞ্জ থেকে সিআরপিএফ, বিএসএফকে তোলার জন্য। অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করার জন্য। আগে শামশেরগঞ্জে হিংসায় মৃত হরগোবিন্দ দাস চন্দন দাসের কাছে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী। কেন ওয়াকফ আন্দোলনের নামে হিংসা হয়েছিল? মুর্শিদাবাদ জেলায় শুধু সনাতনী হিন্দু না রাষ্ট্রবাদী মুসলিমরা বাইশটিতে তৃণমূলকে হারাবে।” একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে ২০টি জয়ী হয় তৃণমূল। বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র দুটিতে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থীরা।
.jpeg)