সম্পাদকীয়
ক্রমেই কি এগিয়ে আসছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্বাবনা - রুশ প্রেসিডেন্টের কথায় তেমনই ইঙ্গিত
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে একদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যদিকে রাশিয়া। পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়। এমন অবস্থায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কাকে উসকে দিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। তবে ইউরোপ যদি একান্তই আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ লড়তে চায় এবং সেই পথে পা বাড়ায় তবে ক্রেমলিনও প্রস্তুত। রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে।ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেই নিজের অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করেছে রাশিয়া। শুরু হয়েছে একের পর এক মারণাস্ত্রের পরীক্ষা। রাশিয়ার পাল্লা দিয়ে অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করেছে আমেরিকা ও ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। এই পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পুতিন। সেখানে ন্যাটোর যুদ্ধ প্রস্তুতি ও ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ সম্ভাবনা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। একথা আমি অন্তত একশোবার বলেছি তবে ইউরোপ যদি আমাদের উপর হঠাৎ হামলা চালায় ও যুদ্ধ শুরু করে তবে আমরাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।"
স্বাভাবিক কারণেই পুটিনের এই কথায় অন্য ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। পুতিনের এই বয়ান এমন সময় সামনে এসেছে যখন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনার জন্য মস্কো সফরে এসেছেন মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ এবং জ্যারেড কুশনার। মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল পুতিনের তার ঠিক আগেই এই বিবৃতি দেন তিনি। শুধু তাই নয়, পুতিন অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টায় বাধা সৃষ্টি করছেন ইউরোপের নেতারা। এইসব নেতারাই যুদ্ধের পক্ষে বলে অভিযোগ তুলে পুতিন বলেন, ইউরোপের দেশগুলি ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করে আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রে রাশিয়ার তেলের ট্যাঙ্কারে ড্রোন হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন পুতিন। কিন্তু ইউরোপ নীরব থাকায় প্রবল ক্ষুব্ধ রাশিয়া। এখন দেখতে হবে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
