তৃণমূল ছেড়ে মিমে যোগ দেওয়ার হিড়িক মুর্শিদাবাদে
সম্ভবত ভারতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর সবটাও ফাঁকা আওয়াজ দেন নি। এবার ধীরে ধীরে তা স্পষ্ট হচ্ছে। হুমায়ুন পদত্যাগ করেই বলেছিলেন, তৃণমূলকে তিনি প্রাক্তন করবেন। তিনি শুরু করেছেন মসজিদ নিয়ে রাজনীতি। বাবরি মসজিদের শুরুর দিনেই তিনি বলেছিলেন যে তিনি মিমের সঙ্গে জোট বাঁধবেনা। আর তাঁর এহেন বয়ানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদে তৃণমূলে ভাঙন। তৃণমূল ছেড়ে মিমে যোগদান প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মীর। সোমবার সকালে রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে মিমে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটের আগে সংখ্যালঘু এলাকায় যোগদান বেড়েই চলেছে। এক যোগদানকারী বললেন, “অন্যায়, দুর্নীতি আর ভণ্ড রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে মাঠে নেমে মিম-কেই শক্তি দিতে হবে। তাই যোগ!” তিনি আরো জানান, বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য তাদের এই দল পরিবর্তন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অস্বস্তি ঠিক কত দূর গিয়ে পৌঁছবে, তা এখনই আঁচ করা যাচ্ছে না। হতে পারে, সেই আঁচ গিয়ে পড়তে পারে বিধানসভা নির্বাচনের ফলেও। এমনিতে নতুন দল করে ৯০ টি আসনকেই টার্গেট করছেন হুমায়ুন। হুমায়ুন হুঙ্কার দিয়েছিলেন, বিধানসভায় ফল গুনতে হবে তৃণমূলকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, ভোট কাটাকুটির রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে আবার মিমের প্রবেশ! মুর্শিদাবাদের মাটিতে তৈরি হচ্ছে এক জটিল সমীকরণ। অভিজ্ঞদের মতে, যা তৃণমূলের যথেষ্টই বিড়ম্বনার কারণ।রঘুনাথগঞ্জে আগে থেকেই সংগঠন কিছুটা মজবুত করেছে মিম। বুথ স্তরেও সংগঠন করতে সক্ষম হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জের পাশে লালগোলায় একজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন।
